ঢাকা ১০:০৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৩২৫ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭
  • ২২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুর জেলা সুপারির রাজধানী হিসেবে অনেকটাই পরিচিত। জেলায় ৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সুপারির উৎপাদিত বাগান রয়েছে।

এ বছর ৩২৫ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমের শুরুতেই এসব সুপারি কেনাবেচায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় দিন দিন এ অঞ্চলে সুপারি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। পরিচর্চা কিংবা বাগানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ, রোগবালাইয়ের চিন্তা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকদের সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

সুপারি চাষিরা জানান, সুপারি গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা এবং তদারকির কারণে গাছে রোগবালাই কম ও ফলন বেশি হয়েছে। গাছ রোপণ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণে কৃষি বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে লক্ষ্মীপুরে এ অর্থকরী ফসল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেও তারা জানান।

সুপারিকে কেন্দ্র করে প্রতি বাজারে বসে সুপারির হাট। এসব বাজারে সকাল থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে সুপারি কেনাবেচা। বিশেষ করে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী, সদর উপজেলার দালাল বাজার, চররুহিতা, ভবানীগঞ্জ, মান্দারী, জকসিন, রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার, খাসের হাট, মোল্লারহাটসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুপারিকে ঘিরে চলছে জমজমাট ব্যবসা। এখানকার উৎপাদিত সুপারির ৭০ ভাগ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয়। আর ৩০ ভাগ সুপারি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করেন অনেকে। উৎপাদিত সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর, রায়পুর উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৮৭৫ হেক্টর, কমলনগরে ৩৫০ ও রামগতি উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়ে থাকে। শুরুতে ২৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা প্রতি কাওন (১৬ পোন) সুপারি বিক্রি হলেও মাঝামাঝিতে দাম একটু কমে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত এ সুপারি থেকে ৩২৫ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সুপারি বাগান করার মধ্য দিয়ে এখানকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাঁচা-পাকা সুপারির দাম কিছুটা বেশি। ভালো দাম পেয়ে চাষিরাও খুশি।

মানবকণ্ঠ

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

৩২৫ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন

আপডেট টাইম : ১২:৪৪:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ উপকূলীয় অঞ্চল লক্ষ্মীপুর জেলা সুপারির রাজধানী হিসেবে অনেকটাই পরিচিত। জেলায় ৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সুপারির উৎপাদিত বাগান রয়েছে।

এ বছর ৩২৫ কোটি টাকার সুপারি উৎপাদন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। চলতি মৌসুমের শুরুতেই এসব সুপারি কেনাবেচায় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন হাটবাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করায় দিন দিন এ অঞ্চলে সুপারি উৎপাদনও বৃদ্ধি পাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কম হওয়ায় অন্যান্য ফসলের তুলনায় অধিক লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। পরিচর্চা কিংবা বাগানে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ, রোগবালাইয়ের চিন্তা না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষকদের সুপারি চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে।

সুপারি চাষিরা জানান, সুপারি গাছের পরিচর্যা ও রক্ষণাবেক্ষণে স্থানীয় কৃষি অফিসের সহযোগিতা এবং তদারকির কারণে গাছে রোগবালাই কম ও ফলন বেশি হয়েছে। গাছ রোপণ ও সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণে কৃষি বিভাগের আন্তরিক প্রচেষ্টার কারণে অর্থনৈতিক উন্নয়নে লক্ষ্মীপুরে এ অর্থকরী ফসল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেও তারা জানান।

সুপারিকে কেন্দ্র করে প্রতি বাজারে বসে সুপারির হাট। এসব বাজারে সকাল থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে সুপারি কেনাবেচা। বিশেষ করে জেলা শহরের উত্তর তেমুহনী, সদর উপজেলার দালাল বাজার, চররুহিতা, ভবানীগঞ্জ, মান্দারী, জকসিন, রায়পুর উপজেলার হায়দরগঞ্জ বাজার, খাসের হাট, মোল্লারহাটসহ জেলার বিভিন্ন হাটবাজারে সুপারিকে ঘিরে চলছে জমজমাট ব্যবসা। এখানকার উৎপাদিত সুপারির ৭০ ভাগ বিভিন্ন জলাশয়ে প্রক্রিয়াজাত করে রাখা হয়। আর ৩০ ভাগ সুপারি দেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হয়। এ ছাড়া রোদে শুকিয়েও সংরক্ষণ করেন অনেকে। উৎপাদিত সুপারি জেলার চাহিদা মিটিয়ে সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। লক্ষ্মীপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর লক্ষ্মীপুর জেলায় ৬ হাজার ৩৫৫ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১ হাজার ৮৫০ হেক্টর, রায়পুর উপজেলায় ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর, রামগঞ্জে ৮৭৫ হেক্টর, কমলনগরে ৩৫০ ও রামগতি উপজেলায় ৪০ হেক্টর জমিতে সুপারির আবাদ হয়ে থাকে। শুরুতে ২৮শ’ থেকে ৩ হাজার টাকা প্রতি কাওন (১৬ পোন) সুপারি বিক্রি হলেও মাঝামাঝিতে দাম একটু কমে যায়।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেন জানান, গত বছরের তুলনায় এবার সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। উৎপাদিত এ সুপারি থেকে ৩২৫ কোটি টাকা বেশি আয় হয়েছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া সুপারি চাষের জন্য বেশ উপযোগী। সুপারি বাগান করার মধ্য দিয়ে এখানকার কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার কাঁচা-পাকা সুপারির দাম কিছুটা বেশি। ভালো দাম পেয়ে চাষিরাও খুশি।

মানবকণ্ঠ